নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনা তৈরীতে জনপ্রতিনিধি ভুমিকা অপরিসীম বলে উল্লেখ করেছেন সুশীল সমাজের লোকজন। তারা জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করছে জনপ্রতিনিধিরা। তারা মাস্ত স্যানেটাইজারসহ অন্যান্য উপকরন দিচ্ছেন যার যার এলাকায়। তবে তারা যে সচেতনতা তৈরীতে কাজ করছেন সেই কাজটি আরো একটু গুরুত্ব দিয়ে প্রত্যেকটি গ্রামে গিয়ে গিয়ে মানুষকে ঘরে থাকার তাগিদ নিতে হবে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন হাট বাজার ও জনসমাগম এলাকায় গিয়ে মানুষকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠাচ্ছেন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে উৎসাহি করছেন। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন চলে গেছে তারা আবার গনজমায়েত হতে শুরু করেন। বিশেষ করে গ্রাম পাড়া ও মহল্লার অবস্থা নাজুক। পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে অযথা মানুষ বসে গল্পগুজব করেন। করোনা যে একটা মহামারি রোগ সেটা তারা টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছেন বুঝছেন কিন্তু পালনের ক্ষেত্রে ধীরতা। তাদের এ ধীরতা যে দেশকে কবরে পরিনত করতে পারে সেটা তারা উপলম্বি করতে পারছেনা। সেজন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়নের মেম্বার সেসব এলাকায় মাইকিং করে প্রয়োজন হলে প্রশাসনকে ডেকে গণজমায়েত বন্ধ করতে হবে। তবে অনেক জনপ্রতিনিধি মনে করেন গনজমায়েত বন্ধ করতে বললে তাদের ভোট নস্ট হতে পারে। এটা ঠিক না কারন যারা সচেতন তারা প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হয় না। যারা অসচেতন মুখ্য তারাই নিজের ক্ষতি করে প্লাস অপরেরও ক্ষতি করে। আর যারা অসচেতন তারা কখন ভাল জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না। সমাজে সচেতন লোকের সংখ্যাই বেশী। জনপ্রতিনিধিরা যখন ভাল কাজ করবে তখন সচেতন লোকেরাই তাকে আবার নির্বাচিত করবে।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক সালাউদ্দিন জুয়েল বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আমাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেজন্য প্রতিটি লোককে বুঝতে হবে এবং ঘরে অবস্থান করতে হবে। আর সেটা নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের ভুমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। মেম্বাররা প্রতিদিন একবার অথবা দু’বার এলাকা ঘুরে ঘরের বাহিরে থাকা লোকগুলোকে ঘরে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করতে পারে। এতে দেশ করোনা ভাইরাস মোবাবেলায় ভাল কাজ হতে পারে।